ইউটিউবের দুনিয়ায় নতুন পালক যুক্ত হলো মাল্টি-ল্যাঙ্গুয়েজ ডাবিং ফিচার। এখন থেকে বাংলায় তৈরি করা একটি ভিডিও স্প্যানিশ, জাপানি বা ফরাসি ভাষাভাষী দর্শকরাও তাদের মাতৃভাষায় দেখতে পারবেন। প্রযুক্তির এই যুগান্তকারী পরিবর্তনের পেছনে কাজ করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যার ভিত্তি গুগলের শক্তিশালী এআই মডেল জেমিনি।
এখন আর আলাদা ভাষার চ্যানেল খুলে ভিউয়ার বাড়ানোর ঝামেলা নেই। একটি ভিডিও দিয়েই পৌঁছে যাওয়া যাবে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। শুধু অনুবাদ নয়, ভিডিওতে বক্তার টোন, আবেগ ও স্বাভাবিক কণ্ঠভঙ্গিও ধরে রাখা সম্ভব হবে। পরীক্ষামূলকভাবে ভিডিওর থাম্বনেলও ভাষাভেদে বদলে দেওয়ার কাজ চলছে।
ইউটিউবারদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে বড় সুখবর। বিশেষ করে নতুন কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য এটি হতে পারে এক বিপ্লব। যারা একাধিক ভাষায় ভিডিও তৈরি করতে পারেন না কিংবা বিদেশি দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে চান, তাদের জন্য এআই ডাবিং হবে সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার।
ইতোমধ্যে যেসব নির্মাতা এই ফিচার ব্যবহার শুরু করেছেন, তাদের ভিডিওর ভিউ বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। মার্ক রোবার নামের এক জনপ্রিয় নির্মাতা এখন প্রতিটি ভিডিও ৩০টি ভাষায় ডাবিং করছেন। ফলে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ব্রাজিল-বিশ্বের নানা প্রান্তের দর্শক তার ভিডিও দেখছেন নিজেদের ভাষায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউটিউবের এই উদ্যোগ কনটেন্টের লোকালাইজেশন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করেছে। এতে নির্মাতারা এক ভিডিও দিয়েই বৈশ্বিক দর্শক টানতে পারবেন, আবার দর্শকেরাও নিজেদের ভাষায় প্রিয় কনটেন্ট উপভোগ করার সুযোগ পাবেন। ভিডিও বানানো হবে বাংলায়, কিন্তু দর্শক হবে গোটা দুনিয়ার-এটাই ইউটিউবের নতুন এআই-চালিত ফিচারের জাদু।