আজকের ভূমিকম্পটা মূলত সামনে আরও বড় ঝাঁকুনির সম্ভাবনার সিগন্যাল দিচ্ছে—এমনটাই জানিয়েছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার।
তার ভাষায়, “যে প্লেট এতদিন ধরে আটকে ছিল, সেটা নড়তে শুরু করেছে—এটাই বড় ভূমিকম্পের প্রাথমিক এলার্ট।”
তিনি আরো বলেন, বহুদিন ধরে গবেষণায় দেখা গেছে—এই অঞ্চলে শক্তি জমে আছে বিশাল মাত্রায়। আজ যে কম্পন হলো, সেটা সেই শক্তির খুবই সামান্য অংশ মুক্ত হয়েছে মাত্র।
আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাসহ সারাদেশে অনুভূত হওয়া ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পকে বিশেষজ্ঞরা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে তীব্র ঝাঁকুনির একটি বলে উল্লেখ করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার ব্যাখ্যা করেন—দেশের পূর্ব পাশে বার্মা প্লেট আর পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট সংযুক্ত; এই লকড অংশটিই আজকের কম্পনে খুলে গেছে। তার মতে, “ভাগ্য ভালো যে কম্পনটা ৭ বা তার বেশি মাত্রা হয়নি, কিন্তু সামনে এমন মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রিয়েল।”
গবেষণায় নাকি দেখা গেছে-৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি এখনও জমে আছে। আজ প্রায় ৬ মাত্রার একটি অংশ বের হলেও বাকিটা এখনো চাপা অবস্থায় রয়েছে। এটাই ভবিষ্যৎ ঝুঁকির ইঙ্গিত।
তিনি আরও বলেন, ভূ-পৃষ্ঠের কম্পন আজ এতটাই তীব্র ছিল যা বহু বছরের মধ্যে দেখা যায়নি, কারণ কম্পনের উৎস ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।
শেষে তিনি রিমাইন্ডার দেন—মানুষকে নিয়মিত মহড়ার মাধ্যমে শেখাতে হবে কীভাবে ভূমিকম্পের মুহূর্তে দ্রুত নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়া যায়।


