আমাদের ই-পেপার পড়তে ভিজিট করুন
ই-পেপার 📄
দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাThursday , 20 November 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. কর্পোরেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. বিনোদন
  12. বিশেষ প্রতিবেদন
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় আজ

Link Copied!

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের বিষয়ে দাখিল করা আপিলের রায় ঘোষণার দিন বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আপিল বিভাগের তালিকায় এই মামলাটিকে রায় ঘোষণার জন্য সবার উপরে রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায় দেবেন।

এর আগে ১১ নভেম্বর আপিলের শুনানি শেষ হয় এবং ২০ নভেম্বরকে রায় ঘোষণার দিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। টানা ১০ দিনের শুনানি শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন—বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

রিটের পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য পক্ষের হয়ে বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ ও ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

গত ২১ অক্টোবর শুনানি শুরু হয় এবং অক্টোবর–নভেম্বর জুড়ে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি দিনে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে ২৭ আগস্ট আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।

পরে ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আলাদা আপিল করেন। একই ধরনের আবেদন করেন নওগাঁর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯৯৬ সালের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে রিট করা হয়। হাইকোর্ট ২০০৪ সালে সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে রিট খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। পরে ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় পঞ্চদশ সংশোধনী, যা দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বিলোপ করা হয়।