ক্যাম্প ন্যু’র পূর্ণাঙ্গ সংস্কার এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। তবুও ১ লাখ ৫ হাজার আসনবিশিষ্ট এই ঐতিহাসিক ভেন্যুতে আপাতত ৪৫ হাজার দর্শক প্রবেশের অনুমতি মিলেছে। আর ঠিক সেই সীমিত উপস্থিতির মাঝেই ৯০৯ দিন পর নিজেদের ঘরে ফিরেই অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে বার্সেলোনা যেন নতুন করে নিজেদের শক্তির ঘোষণা দিল। ফলাফল– রিয়াল মাদ্রিদকে পিছনে ফেলে লা লিগার শীর্ষে ফেরা।
শনিবার রাতে পরিচিত সবুজ গালিচায় পা রাখতেই স্বাগতিকরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের ঝুলিতে এনে নেয়। ফেররান তোরেসের জোড়া গোল, রবার্ট লেভান্ডফস্কি ও ফারমিন লোপেজের একটি করে গোল— সব মিলিয়ে দারুণ এক আক্রমণাত্মক রাত কাটায় কাতালানরা। স্কোরশিটে নাম না লিখলেও লামিনে ইয়ামাল দু’টি অ্যাসিস্টসহ ছিলেন ম্যাচের অন্যতম আর্কিটেক্ট। পজেশনে ৬৮ শতাংশ আধিপত্য আর ১৯ শটে ৭টি অন টার্গেট প্রচেষ্টা— বার্সা পুরো ম্যাচে ছিল পুরোপুরি কমান্ড-মোডে। বিপরীতে বিলবাওয়ের ১৩ শটের মাত্র দুটি লক্ষ্যে যায়।
বিলবাও শুধু চাপই সামলায়নি— ৫৪ মিনিটে ওইহান সানচেট লাল কার্ড দেখে দলকে ১০ জনে নামিয়ে দেন। এর আগেই ইনজুরি থেকে ফিরেছেন বার্সা গোলরক্ষক হুয়ান গার্সিয়া এবং ম্যাচের শেষদিকে বদলি হয়ে মাঠে নেমেছেন রাফিনিয়া। শুরু থেকেই কড়া প্রেসিং-এ প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখার ফলেই ৪ মিনিটেই লেভান্ডফস্কি গোল এনে দেন। বক্সে ঢুকে ডান পায়ের সুচিন্তিত শটে জালে বল পাঠান তিনি। চলতি মৌসুমে এটি তার ১০ ম্যাচে অষ্টম গোল।
১৫ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ চেষ্টা করেও লোপেজকে ঠেকান বিলবাও গোলরক্ষক উনাই সিমন। ফিরতি বলে দানি ওলমো শট নিলেও সেটি লক্ষ্যে ছিল না। অন্যদিকে বিলবাও বার্সা গোলরক্ষকের জন্য বড় কোনো পরীক্ষা তৈরি করতে পারেনি। বিরতির ঠিক আগে যোগ করা সময়ে ইয়ামালের দারুণ পাস থেকে নিচু শটে দলকে ২-০ তে এগিয়ে দেন তোরেস।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই লোপেজ স্কোরলাইন ৩-০ করেন শক্তিশালী শটে। কিছুক্ষণ পর তাকে ফাউল করায় সানচেট সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। ৮০ মিনিটে গার্সিয়া আবারও অসাধারণ সেভে গোল ঠেকান। এরপর চোট কাটিয়ে রাফিনিয়া মাঠে নামেন বদলি হিসেবে। শেষ মুহূর্তে ইয়ামালের নিখুঁত পাসে বক্সে ঢুকে তোরেস তার দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলটি করেন।
এ ম্যাচের পর বিলবাওয়ের বিপক্ষে টানা ১২ ম্যাচ অপরাজিত থাকল হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সা— যার মধ্যে ১০টিতেই জয়। শীর্ষে ওঠার দিনে ১৩ ম্যাচে ১০ জয় ও এক ড্রয়ে বার্সার সংগ্রহ ৩১ পয়েন্ট। একই পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল এখন দুইয়ে, গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার কারণে।
