গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের সঙ্গে রীতিমতো ছেলেখেলায় মেতেছিল বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে জোড়া গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বিরতির পর তারা আরও আগ্রাসী। কাতালানদের জার্সিতে প্রথম কোনো স্প্যানিশ ফুটবলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস গড়েছেন তরুণ ফরোয়ার্ড ফারমিন লোপেজ। যাতে ভর করে হ্যান্সি ফ্লিকের দল অলিম্পিয়াকোসকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার রাতটা ছিল দারুণ রোমাঞ্চকর। ব্যস্ত সূচির মধ্যেও গোলের বন্যায় জমে উঠেছিল মাঠ। নিজেদের ঘরের মাঠে অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে বার্সেলোনার ম্যাচটি ছিল একেবারেই একপেশে। শুরু থেকেই ফারমিন লোপেজ, রাশফোর্ড ও পেদ্রিরা প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে একের পর এক আক্রমণ সাজান। লোপেজ হ্যাটট্রিক, রাশফোর্ডের জোড়া ও লামিনে ইয়ামালের এক গোল মিলিয়ে বড় জয় পায় বার্সা।
পুরো ম্যাচে ৬৯ শতাংশ বলের দখল ছিল বার্সেলোনার, তারা ১৪টি শট নেয় যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে অলিম্পিয়াকোস ৫ শটের মধ্যে মাত্র দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে। ৫৭ মিনিটে মার্ক কাসাদোকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন সান্তিয়াগো হেজে, ফলে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই লিড নেয় বার্সেলোনা—ইয়ামালের তৈরি করা সুযোগে বল জালে পাঠান ফারমিন লোপেজ। এরপর ৩৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে লিড দ্বিগুণ করেন তিনি। বিরতির পর পেনাল্টি থেকে এল কাবি গোল করলেও চার মিনিট পরই লাল কার্ডে ১০ জনে নেমে আসে অলিম্পিয়াকোস। বাকি সময়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা—নির্ভার জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কাতালান জায়ান্টরা।
রাশফোর্ডকে বক্সে ফাউল করায় ৬৮ মিনিটে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। স্পটকিক থেকে লামিনে ইয়ামাল গোল করে ব্যবধান বাড়ান ৩-১ এ। এরপর শুরু হয় গোলের ঝড়—৭৪ মিনিটে আলেহান্দ্রো বাল্দের ছোট পাসে রাশফোর্ড শটে বল জালে জড়ান, আর ৭৬ মিনিটে হাফ ভলিতে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ফারমিন লোপেজ। ৭৯ মিনিটে পেদ্রির উঁচু করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন রাশফোর্ড।
৬-১ ব্যবধানের এই দাপুটে জয়ে তিন ম্যাচে দুই জয় ও ছয় পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আছে বার্সেলোনা। অন্যদিকে, তিন ম্যাচে এক ড্র ও দুই হারে জয়বিহীন অলিম্পিয়াকোস অবস্থান করছে ৩২তম স্থানে।

