২০০৯ সালের পর আর পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে হারাতে পারেনি বলিভিয়া। এমনকি সর্বশেষ চার ম্যাচেই তারা সেলেসাওদের কাছে ৩ বা তার বেশি গোলে হেরেছে। ফলে ২০২৬ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিতে পারা বলিভিয়ানদের জন্য ব্রাজিলের বিপক্ষে জয় ছিল বড় কিছু। সেই কাজটাই তারা সম্পন্ন করেছে বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে। কার্লো আনচেলত্তির দলকে বলিভিয়া ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪১৫০ মিটার উচ্চতায় খেলতে নেমে সফরকারী দলগুলো প্রায়শই ভোগে। সেলেসাওদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ৪২ শতাংশ বল দখলে থাকলেও আক্রমণে এগিয়েই ছিল স্বাগতিক বলিভিয়া। ২৩ শট নিয়ে এর ১০টিই তারা লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে। বিপরীতে ব্রাজিলের ১০ শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল মাত্র ৩টি। বলিভিয়ার এই জয় তাদের প্লে-অফ খেলে প্রথমবার বিশ্বকাপে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে।
অতি উচ্চতায় খেলতে নেমে শুরু থেকেই স্বাভাবিক ছন্দে ছিল না ব্রাজিল। বিপরীতে স্বাগতিক বলিভিয়া একের পর এক সুযোগ তৈরি করে যাচ্ছিল। সপ্তম মিনিটে লুইস হাকিনের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান সেলেসাও গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। মিনিট দশেক পর আবারও তিনি দলটির ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান। ৪০ মিনিটে প্রথম কোনো শট নিয়েও হতে হয় ব্রাজিলকে। এরপর যোগ করা সময়ে বলিভিয়াকে এগিয়ে দেন মিগুয়েল আনহেল টারসেরোস। ব্রুনো গুইমারেস প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেলেও বলিভিয়াকে হতাশ করেন বেকার। ৫৪ মিনিটের পর ৭১তম মিনিটে রবসন দূরপাল্লার শট ব্যর্থ হয় ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকের প্রচেষ্টায়। একইভাবে শেষ পর্যন্ত বেকারের দারুণ সেভ সেলেসাওদের আরও বড় ব্যবধানে হার থেকে বাঁচিয়ে দেয়। ব্রাজিলও বিরতির পর বেশ কয়েকবার ম্যাচে ফেরার মতো মোক্ষম সুযোগ খুঁজছিল। তবে তাতে ঠিক ধার ছিল না। ফলে ১-০ গোলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো তাদের।
বলিভিয়া আজকের জয়ে ইন্টার-কনফেডারেশন প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ম্যাচ শেষে তাই তাদের উদযাপনে ছিল আবেগ ও উচ্ছ্বাস। আগের ম্যাচে আর্জেন্টিনা একই (১-০) ব্যবধানে হেরেছে ইকুয়েডরের বিপক্ষে। এরপর ব্রাজিলও একই ফল দেখল। পয়েন্ট টেবিলেও দুই থেকে পিছিয়ে পাঁচে নেমে গেল তারা।