প্রাক-মৌসুমের প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই কাটাচ্ছে লিভারপুল। এশিয়া সফরে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানের কাছে হারলেও বাকি তিন ম্যাচে জয় পেয়েছে অলরেডরা। প্রি-সিজনের শেষ ধাপে সোমবার (৪ আগস্ট) স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে এক দিনে দুই ম্যাচ খেলেছে আর্নে স্লটের দল। বিলবাওকে দুইবারই হারিয়েছে তারা।
মূলত নিজেদের মাঠে পুরো স্কোয়াডকে খেলার সুযোগ করে দিতেই ডাবল-হেডার আয়োজন করে লিভারপুল। দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৩০ জনেরও বেশি খেলোয়াড় মাঠে নেমেছেন। অ্যানফিল্ডে দুটি ভিন্ন দল নিয়ে খেলা ম্যাচের প্রথমটিতে ৪-১ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৩-২ ব্যবধানে জয় লাভ করেছে আর্নে স্লটের শিষ্যরা।
লিভারপুল তারকা দিয়োগো জোটা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভার আকস্মিক মৃত্যু পর অ্যানফিল্ডে ছিল এটি প্রথম ম্যাচ। দুটি ম্যাচেরই ২০তম মিনিটে (জোটা’র জার্সি নম্বর স্মরণে) স্টেডিয়ামজুড়ে করতালির মাধ্যমে জোটাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। জোটার শ্রদ্ধায় ফিল থম্পসন ও অ্যাথলেটিক ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোন উরিয়ার্তে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রথম ম্যাচে লিভারপুলের তরুণ খেলোয়াড়দের পরখ করেন স্লট, যেখানে নজর কাড়েন ১৬ বছর বয়সি রিও এনগুমোয়া। দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। এরপর অবদান রাখেন দ্বিতীয় গোলেও। পরবর্তী সময়ে বেন ডোক ও হার্ভি এলিয়ট গোল করে ম্যাচের ব্যবধান ৪-০ করে ফেলেন। অ্যাথলেটিক বিলবাও দ্বিতীয়ার্ধে একটি সান্ত্বনার গোল পায় গোরকা গুরুজেতার হেডের মাধ্যমে। তবে শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করে লিভারপুল।
দ্বিতীয় ম্যাচে একদম নতুন একাদশ নামান লিভারপুল কোচ। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল অলরেডরা। হুগো একিতিকের দারুণ এক পাসে মোহাম্মদ সালাহ ১৪ মিনিটেই লিভারপুলকে এগিয়ে নেন। প্রথমার্ধেই ওইহান সানসেট বিলবাও’র হয়ে সমতা ফেরান। দ্বিতীয়ার্ধে রায়ান গ্রেভেনবার্গের দূরপাল্লার শট ফিরিয়ে দেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমন। এ সময় বল ছিটকে গেলে কোডি গাকপো সেটি জালে পাঠাতে ভুল করেননি।
এরপর দুর্ভাগ্যবশত গাকপো নিজেই এক কর্নারে আত্মঘাতী গোল করে বসেন। কিন্তু সে ভুল দ্রুতই শুধরে নিয়ে গোল করেন তিনি। তার নেওয়া শক্তিশালী শট সিমনের হাত ফসকে জালে প্রবেশ করলে ৩-২ ব্যবধানে আবার এগিয়ে যায় লিভারপুল। শেষ মুহূর্তে সালাহ একটি পেনাল্টি মিস করলেও জয় হাতছাড়া হয়নি তাদের।