লুইস এনরিক ![]()
“ইন্টার মিয়ামির মুখোমুখি হচ্ছি মানেই মেসির মুখোমুখি হওয়া। যখন তুমি এ নিয়ে ভাববে, বুঝবে—তুমি এমন একটা দলের বিপক্ষে খেলছো, যাদের দলে মেসি আছে।
এটাই সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার। কারণ মেসি হলো মেসি। সে আজও একই রকম, যেমন ছিল গতকাল, বা এক বছর আগেও। সে এখনও আলো চুরি করে নেয়, এখনও মাঠে জাদু দেখায়। প্রতিভা ওর রক্তে আর বয়স? সেটা শুধু একটা সংখ্যা!
আমি অনেক কিংবদন্তি খেলোয়াড়কে কোচিং করিয়েছি, কিন্তু সমস্যাটা হলো—তাদের একজন এখনো মায়ামিতে খেলছে, আর সে নিজের পুরনো কোচদেরও বিব্রত করতে পছন্দ করে!
একজন কোচের সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্ন কী জানো? এমন একজন খেলোয়াড়ের মুখোমুখি হওয়া, যাকে তুমি হৃদয় দিয়ে চেনো, যার প্রতিটা মুভ তোমার মনে গেঁথে আছে—তবুও তুমি তাকে থামাতে পারো না!
এটাই মেসি! এমনকি সে যদি এক পা দিয়েও খেলে, তবুও গোল করে বসে। তখন আমি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলব: ‘এটাই তো আমি আমার কোচিং করা সেরা খেলোয়াড়ের কাছ থেকে আশা করেছিলাম।’
তারপর হয়তো গিয়ে জলে লাথি মারব! সাংবাদিকদের দেখাবো আমি কতটা রেগে আছি!
কিন্তু আসল সত্যি? কেউ জানে না কীভাবে মেসিকে থামাতে হয়।
তবে সবাই জানে—মেসির ধ্বংসাত্মক খেলা দেখা, এটাই এক অপূরণীয় আনন্দ!”

                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    