দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ১২ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
আজ বুধবার (০১ অক্টোবর ২০২৫) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড আইডি থেকে দেয়া এক পোস্টে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে শক্তিশালী নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম কি হবে সেটিও জানিয়েছেন আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক এই গবেষক।
একটি পোস্টে মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন যে, বুধবার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ১২ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার।
ফেসবুকে দেয়া সেই পোস্টের শেষেরদিকে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা ও এর প্রভাবে বৃষ্টিপাতের বিষয়ে জানিয়েছে আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক এই গবেষক। পোস্টের বিশেষ দ্রষ্টব্য অংশে তিনি লিখেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের উপরে এখনও বর্ষা মৌসুম চলছে এবং বর্ষা মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করে না।
আগামী ৭২ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি./২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (>৮৮ মি.মি./২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

