ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান কায়া কাল্লাস জানিয়েছেন—রাশিয়া দীর্ঘ সময় কোনো সমঝোতায় স্থির থাকবে, এমন প্রত্যাশা বাস্তবে টেকসই নয়। তিনি বলেন, ব্লকের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা দ্রুত শক্তিশালী করার বিষয়ে এখন সব সদস্য দেশ একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
সোমবার তিনি মন্তব্য করেন, “সবাই এখন একমত—ইউরোপকে নিজেদের প্রতিরক্ষা আরও দৃঢ় করতে হবে। সময় খুব সীমিত। প্রেসিডেন্ট পুতিন কোনো সমঝোতা দীর্ঘদিন ধরে রাখবেন—এটা আশাবাদী চিন্তা মাত্র।”
কাল্লাস তুলে ধরেন, ইইউ ও সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইতোমধ্যে ইউক্রেনকে ১৮৭ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি সহায়তা দিয়েছে। তার মতে, ইউক্রেনকে আরও শক্ত সামরিক সহায়তা দেওয়া গেলে দেশটি যুদ্ধক্ষেত্রে যেমন দৃঢ় অবস্থানে থাকবে, তেমনই ভবিষ্যৎ আলোচনাতেও তাদের অবস্থান আরও শক্ত হবে।
বেলজিয়ামের আপত্তি সত্ত্বেও রাশিয়ার জমাট সার্বভৌম সম্পদের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনাকে তিনি ‘সবচেয়ে কার্যকর সমাধান’ বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, “ইউক্রেনে যে ক্ষতি রাশিয়া করেছে, তার দায় রাশিকেই নিতে হবে। ফ্রিজ করা রুশ সম্পদের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ ঋণই সঠিক পথ।”
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন—ভবিষ্যৎ কোনো আলোচনায় আন্তর্জাতিক চাপ ইউক্রেনের ওপরই বেশি পড়তে পারে, যা শেষ পর্যন্ত রাশিয়াকে এক ধরনের সুবিধা দেওয়ার সমান হবে।
কাল্লাস আরও বলেন, “যুদ্ধ থামানোর সহজ উপায় হলো দুর্বল পক্ষকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা—কিন্তু এটাই সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। এটি ইউক্রেন, ইইউ কিংবা বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী শক্তি প্রয়োগ করে সীমান্ত পরিবর্তন অনুমোদিত নয়।”
তিনি সতর্ক করে দেন—যদি শক্তির জোরে সীমান্ত দখলের এই প্রবণতা সফল হয়ে যায়, তাহলে বিশ্বে আরও বহু স্থানে একই দৃশ্য দেখা যেতে পারে।
এ ছাড়া তিনি বেলারুশের দিক থেকে বাড়তে থাকা ‘হাইব্রিড হুমকি’ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। লিথুয়ানিয়ার অভিযোগ—বেলারুশ থেকে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী বেলুন সীমান্ত অতিক্রম করছে। তিনি জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় ইইউ নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের চিন্তা করছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি


