
বাংলাদেশের কয়েকটি এজেন্সি দাবি করছে যে তারা নাকি ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই থাই ই-ভিসা নিশ্চিত করে দিতে পারে। তবে ঢাকাস্থ রয়েল থাই দূতাবাস জানিয়েছে—এ ধরনের নিশ্চয়তা দেওয়া বাস্তবে সম্ভব নয়।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় দূতাবাস।
বার্তায় উল্লেখ করা হয়, তাদের নজরে এসেছে কিছু এজেন্সি প্রচার চালাচ্ছে যে মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যেই থাই ভিসার অনুমোদন দেওয়া সম্ভব। এ নিয়ে দূতাবাসের ব্যাখ্যা—
১. কোনো এজেন্সি থাই ই-ভিসা ‘গ্যারান্টি’ দিতে পারে না।
২. সব ই-ভিসার আবেদন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কঠোরভাবে যাচাই করা হয়।
৩. আবেদনকারীদের বিভ্রান্তিকর সেবা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য আবেদন করার সময় জাল নথি জমা দিলে ১০ বছরের ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করেছে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) প্রকাশিত এক বার্তায় বলা হয়, যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য আবেদন করতে গেলে জাল বা ভুয়া কাগজপত্র জমা দিলে দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। তাই সব সময় বৈধ নথিপত্র জমা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্যের কোনো ভিসা বা ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ) কোনোভাবেই শতভাগ নিশ্চিত নয়। ভিসা নিশ্চিত করে দেওয়ার নামে ফোন, ই-মেইল বা টেক্সট বার্তার মাধ্যমে যারা যোগাযোগ করছে—তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কেউ যদি দাবি করে যে তারা যুক্তরাজ্যের ভিসা নিশ্চিত করতে পারবে, তবে এটি স্পষ্টভাবে প্রতারণা।
হাইকমিশন আরও জানায়, সব ভিসা আবেদন ও মূল্যায়ন যুক্তরাজ্যের সরকারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এখানে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিশেষ প্রভাব বা নিশ্চয়তা দেওয়ার সুযোগ নেই।
ভিসা-সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য নির্দেশনা ও যাচাইয়ের জন্য ব্রিটিশ সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ অ্যাডভোকেট মোঃ শরীফ মিয়া
অফিস ঠিকানা: বাড়ি নং ১৫ (৬ষ্ঠ তলা), রোড নং ১৯, সেক্টর নং ১১, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০
somriddhabangladesh@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ. All rights reserved.