ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ফের ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা (এফএফসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছে এফএফসি।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ইতালি ও ফ্রান্সের পতাকাবাহী দু’টি নৌযান গত (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) তারিখে ইতালির ওৎরান্তো বন্দর থেকে গাজার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর রওনা দিয়েছে আরও ৯টি নৌযান। দ্রুত সেগুলো অগ্রবর্তী জাহাজগুলোর কাছাকাছি পৌঁছাবে এবং একটি ঐক্যবদ্ধ বহর হিসেবে এগিয়ে যাবে।
নতুন এই বহরের ১১টি নৌযানে প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবী ও ক্রু আছেন বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে এফএফসি। ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লেবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা— এই চার সংগঠনের জোট এফএফসি। ২০০৮ সালে গঠিত হয় এই জোট। তারপর থেকে গত ১৭ বছরে বেশ কয়েক বার গাজয় ত্রাণ পাঠিয়েছে এফএফসি।
গত আগস্ট মাসে গাজায় খাদ্য, ওষুধবাহী ৪৩টি নৌযান পাঠানোর ঘোষণা দেয় এফএফসি জোট এবং এই মিশনের নাম দেওয়া হয় ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’। সুইডেনের নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ও রাজনীতিবিদ মান্ডলা ম্যান্ডেলাসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক ছিলেন সেই মিশনে। এই নাগরিকদের কেউ পার্লামেন্টারিয়ান, কেউ আইনজীবী, কেউ রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী আবার কেউ স্বেচ্ছাসেবী।
গত (৩১ আগস্ট ২০২৫) তারিখে স্পেনের বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা; কিন্তু গাজার জলসীমায় কাছাকাছি যাওয়ার পরপরই একটি ব্যতীত সবগুলো নৌযান আটক করে ইসরায়েলের নৌবাহিনী। নৌযান, ক্রু এবং আরোহীদের নিয়ে যাওয়া হয় ইসরায়েলের বন্দরে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ত্রাণবহর আটকে দেওয়ায় ফলে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে; কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ পাত্তা দিচ্ছে না।

