তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে দুটি আপিলের শুনানি মঙ্গলবার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় উঠেছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চে শুনানি হবে।
একটি আপিল করেছেন বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি (সুজন), অন্যটি বিএনপির।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বদিউল আলম মজুমদার বনাম আব্দুল মান্নান খান মামলা ৬ নম্বরে এবং বিএনপির আপিল ৭ নম্বরে রয়েছে।
১৪ বছর আগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায় দিয়েছিল। পরে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের মাধ্যমে এ ব্যবস্থা বাদ দেওয়া হয়।
গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রিভিউ আবেদন করেন। এরপর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীও আবেদন করে। মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন ও একটি সংগঠনও যুক্ত হয়।
রিভিউ শুনানি শেষে ২৭ আগস্ট আপিল বিভাগের বেঞ্চ লিভ মঞ্জুর করে। বদিউল আলম ও বিএনপির রিভিউ থেকে উদ্ভূত আপিলগুলো একসঙ্গে শুনানির সিদ্ধান্ত হয় এবং ২১ অক্টোবর শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়।
মামলার পূর্বাপর:
১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে যুক্ত হয়। ২০০৪ সালে হাইকোর্ট এটি বৈধ ঘোষণা করে।
২০১১ সালের মে মাসের ১০ তারিখ আপিল বিভাগ রায় দিয়ে এই ব্যবস্থা বাতিল করে, এরপর ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়।
গত বছর বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।
নওগাঁর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনও রিট করেন, এবং হাইকোর্ট ওই আইনের ২০ ও ২১ ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণা করে।
একই রায়ে সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান পুনর্বহাল করা হয়।

